IntentChat Logo
Blog
← Back to বাংলা Blog
Language: বাংলা

১০ বছর ইংরেজি শেখার পরও কেন আপনি 'বোবা'?

2025-08-13

১০ বছর ইংরেজি শেখার পরও কেন আপনি 'বোবা'?

আমাদের আশেপাশে এমন একজন বন্ধু যেন সবারই আছে (অথবা, সেই ব্যক্তিটি আমরা নিজেরাই):

প্রাইমারি স্কুল থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত, তাদের ইংরেজি ক্লাস কখনো বাদ যায়নি। একের পর এক শব্দভাণ্ডারের বই মুখস্থ করেছে, ব্যাকরণের নিয়মগুলো তাদের ঠোঁটস্থ। কিন্তু কোনো বিদেশীর সামনে পড়লেই তারা যেন মুহূর্তে 'বাকশক্তি হারিয়ে ফেলে', অনেকক্ষণ চেষ্টা করেও কেবল অস্বস্তিকরভাবে "হ্যালো, হাউ আর ইউ?" বলতে পারে।

আমাদের মনে প্রশ্ন জাগে: এত সময় ব্যয় করার পরও কেন আমরা একটি ভাষা ভালোভাবে শিখতে পারি না? এর মানে কি আমাদের ভাষা শেখার সহজাত দক্ষতা নেই?

না, সমস্যাটি আপনার মধ্যে নয়, বরং আমাদের ভাষা শেখার পদ্ধতির মধ্যে।

আপনি সাঁতার শিখছেন না, আপনি কেবল তীরে বসে সাঁতারের ম্যানুয়াল মুখস্থ করছেন

একবার কল্পনা করুন, আপনি সাঁতার শিখতে চান।

কিন্তু আপনার প্রশিক্ষক আপনাকে জলে নামিয়ে দেন না, বরং আপনাকে একটি মোটা বই, 'সাঁতার তত্ত্বের সম্পূর্ণ জ্ঞানকোষ', ধরিয়ে দেন। তিনি আপনাকে প্রতিদিন শ্রেণীকক্ষে জলের প্লবতার নীতি মুখস্থ করতে, বিভিন্ন সাঁতারের ভঙ্গির কোণ এবং শক্তি প্রয়োগের কৌশল অধ্যয়ন করতে বলেন, এবং তারপর নিয়মিত পরীক্ষা নেন, যেখানে আপনাকে 'ফ্রি-স্টাইলের ২৮টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়' মুখস্থ লিখে দেখাতে হয়।

আপনি বইটি এত ভালোভাবে মুখস্থ করে ফেলেছেন যে, প্রতিটি তাত্ত্বিক পরীক্ষায় পূর্ণ নম্বর পান। কিন্তু একদিন, যখন কেউ আপনাকে জলে ঠেলে দেয়, তখন আপনি ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে আবিষ্কার করেন— আপনি আসলে সাঁতার কাটতেই জানেন না, এমনকি হয়তো সাথে সাথেই ডুবে যাবেন।

এটা হাস্যকর শোনাচ্ছে, তাই না?

কিন্তু আমাদের বেশিরভাগই স্কুলে এভাবেই ভাষা শিখে থাকি। আমরা ভাষা 'ব্যবহার' করি না, আমরা কেবল ভাষা 'অধ্যয়ন' করি।

আমরা ভাষাকে পদার্থবিজ্ঞান বা ইতিহাসের মতো একটি বিষয় হিসেবে দেখি, মুখস্থ করা এবং পরীক্ষার উপর মনোযোগ দেই, কিন্তু এর মূল কাজ—যোগাযোগ এবং সংযোগ—কে উপেক্ষা করি। আমরা যেন সেই লোকটির মতো, যে তীরে বসে সাঁতারের ম্যানুয়াল খুব ভালো করে পড়েছেন, কিন্তু জলের উষ্ণতা কখনো অনুভব করেননি।

শ্রেণীকক্ষে শেখার 'তিনটি বড় ফাঁদ'

এই 'তীরে সাঁতার শেখার' পদ্ধতিটি আপনাকে তিনটি ক্লান্তিকর ফাঁদে ফেলে দেবে:

১. 'বিরক্তিকর' ব্যাকরণের নিয়ম

শ্রেণীকক্ষে আমরা ব্যাকরণকে কাটাছেঁড়া করতে প্রচুর সময় ব্যয় করি, যেন পরীক্ষাগারে প্রজাপতির নমুনা নিয়ে গবেষণা করছি। আমরা জানি প্রেজেন্ট পারফেক্ট কন্টিনিউয়াস টেন্স কী, সাবজেক্টিভ মুড কী, কিন্তু বাস্তব কথোপকথনে কীভাবে সেগুলো স্বাভাবিকভাবে ব্যবহার করতে হয় তা জানি না।

ভাষার সত্যিকারের ওস্তাদরা নিয়ম মুখস্থ করে নয়, বরং 'ভাষাগত বোধ' (language sense) দিয়ে কথা বলেন — ঠিক যেমন আমরা বাংলা বলার সময় প্রথমে কর্তা-ক্রিয়া-কর্ম নিয়ে ভাবি না। এই ভাষাগত বোধ আসে প্রচুর 'নিমগ্নতা' (immersion) থেকে, যেমন একজন সাঁতারু তার সহজাত প্রবৃত্তি দিয়ে জলের প্রবাহ অনুভব করেন, মস্তিষ্কে প্লবতার সূত্র হিসাব না করে।

২. 'কচ্ছপ গতি'র শেখার তাল

শ্রেণীকক্ষে সবাইকে সামলাতে হয়, তাই শেখার গতি সবসময় বিরক্তিকরভাবে ধীর থাকে। শিক্ষক হয়তো এক সপ্তাহ ধরে এমন কয়েকটি শব্দ বারবার ব্যাখ্যা করেন যা আপনি প্রথম দিনেই বুঝে গেছেন।

এটা অনেকটা এমন যে একজন প্রশিক্ষক তার পুরো সাঁতার দলকে এক মাস ধরে একই স্ট্রোক বারবার অনুশীলন করাচ্ছেন। যারা ইতিমধ্যেই সাঁতারে নামতে প্রস্তুত, তাদের জন্য এটা নিঃসন্দেহে এক বিশাল যন্ত্রণা ও সময়ের অপচয়, আর ধীরে ধীরে আপনার উৎসাহ ম্লান হয়ে যায়।

৩. 'একাকী দ্বীপের মতো' অনুশীলনের পরিবেশ

সবচেয়ে মারাত্মক দিকটি হলো: শ্রেণীকক্ষে আপনার সত্যিকারের কথা বলার সঙ্গী প্রায় থাকেই না। আপনার সহপাঠীরা আপনার মতোই ভুল করার ভয়ে থাকে, এবং মাতৃভাষার কাঠামোতে চিন্তা করে বাক্য অনুবাদ করার চেষ্টা করে। আপনাদের কথোপকথন যেন শিক্ষকের দেওয়া কাজ সম্পূর্ণ করার মতো বেশি, হৃদয় থেকে কিছু বলার মতো নয়।

যখন আপনি সাহস সঞ্চয় করে আরও স্বাভাবিক, আরও জটিল একটি বাক্য বলেন, তখন তার প্রতিদানে হয়তো প্রশংসা পান না, বরং সহপাঠীদের হতভম্ব দৃষ্টি, এমনকি 'মানুষের মতো কথা বলুন' বলার মতো ইঙ্গিতবাহী চোখ উল্টানো দেখেন। এর ফলে ধীরে ধীরে আপনি নীরব থাকতে পছন্দ করেন।

কীভাবে এই ফাঁদ থেকে বেরিয়ে এসে সত্যিকারের 'জলে ঝাঁপ দেবেন'?

তাহলে, আমরা কীভাবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাব এবং সত্যিকারের 'সাঁতার' শিখতে পারব?

উত্তরটি সহজ: আপনার নিজের 'সাঁতারের পুকুর' খুঁজে বের করুন, এবং তারপর তার মধ্যে ঝাঁপিয়ে পড়ুন।

কেবল ভাষার 'গবেষক' হয়ে থাকা বন্ধ করুন, ভাষার 'ব্যবহারকারী' হয়ে উঠুন। ভাষাকে একটি বিরক্তিকর বিষয় থেকে একটি মজাদার হাতিয়ারে পরিণত করুন, যা বিশ্বকে সংযুক্ত করার একটি সেতু।

  • ব্যাকরণের বইয়ের পরিবর্তে আপনার পছন্দের গান শুনুন। যত বেশি শুনবেন, তত বেশি দেখবেন যে 'সঠিক' অভিব্যক্তিগুলো আপনাআপনি আপনার মস্তিষ্কে চলে আসছে।
  • অনুশীলন বইয়ের পরিবর্তে একটি ভালো চলচ্চিত্র দেখুন। সাবটাইটেল বন্ধ করে, বাস্তব আবেগ এবং প্রসঙ্গ (context) অনুভব করার চেষ্টা করুন।
  • শব্দ মুখস্থ করাকে সত্যিকারের কথোপকথনে পরিণত করুন। মনে রাখবেন, ভাষার চূড়ান্ত লক্ষ্য হল 'মানুষের' সাথে কথা বলা, 'বইয়ের' সাথে কথা বলা নয়।

আমি জানি, বলা সহজ, করা কঠিন। আমাদের চারপাশে এত বিদেশী নেই, এবং যখন-তখন মৌখিক অনুশীলনের পরিবেশও নেই। আমরা ভুল করতে ভয় পাই, বিব্রত হতে ভয় পাই।

ভাগ্যক্রমে, প্রযুক্তি আমাদের একটি নিখুঁত সমাধান দিয়েছে।

একবার ভাবুন তো, যদি আপনার পকেটেই একটি 'ব্যক্তিগত সাঁতারের পুকুর' থাকে? এমন একটি জায়গা যেখানে আপনি যেকোনো সময়, যেকোনো স্থানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের নেটিভ ভাষাভাষীদের সাথে নিরাপদে এবং সহজে যোগাযোগ করতে পারবেন। এখানে আপনার ভুল করার ভয় থাকবে না, কারণ এআই (AI) আপনার ব্যক্তিগত প্রশিক্ষকের মতো রিয়েল-টাইমে আপনাকে সংশোধন করবে এবং অনুবাদ করে দেবে, যা আপনাকে আত্মবিশ্বাস যোগাবে।

এটাই Intent যা করছে। এটি কেবল একটি চ্যাট টুল নয়, বরং আপনার জন্য বিশেষভাবে তৈরি একটি ভাষার 'সাঁতারের পুকুর'। এটি আপনাকে সমস্ত বিরক্তিকর তত্ত্ব বাদ দিয়ে সরাসরি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশে নিয়ে যায় — সত্যিকারের মানুষের সাথে অর্থপূর্ণ কথোপকথনে জড়িত হতে।

Intent-এর মতো একটি টুল থাকলে, আপনি সহজেই একজন ফরাসি বন্ধুর সাথে সিনেমা নিয়ে কথা বলতে পারবেন, অথবা একজন আমেরিকান বন্ধুকে সাম্প্রতিক স্ল্যাং সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে পারবেন। ভাষা আর পরীক্ষার খাতার একটি প্রশ্ন নয়, বরং বিশ্ব অন্বেষণ এবং বন্ধু তৈরি করার একটি চাবিকাঠি।

তীরে ঘোরাঘুরি করা বন্ধ করুন।

ভাষা শেখার সেরা সময় সবসময় 'এখনই'। সেই নিয়মকানুন এবং পরীক্ষাগুলো ভুলে যান যা আপনার মাথা ব্যথার কারণ হয়, এমন একজন ব্যক্তি বা বিষয় খুঁজুন যা আপনাকে সত্যিই আগ্রহী করে তোলে, এবং তারপর সাহসের সাথে প্রথম বাক্যটি বলুন।

আপনি আবিষ্কার করবেন যে, যখন ভাষা তার যোগাযোগের সারমর্মে ফিরে আসে, তখন এটি মোটেও কঠিন মনে হয় না, বরং আনন্দে ভরে ওঠে।

এখনই জলে ঝাঁপিয়ে পড়ুন, পৃথিবী আপনার অপেক্ষায় আছে।